
মোঃ নাজমুল ইসলাম, ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) রাত ৯:৩০মিনিটের সময় ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া বাজারে এ গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য ও আরামবাড়িয়া এলাকার স্থানীয় যুবদল নেতা সোহান পারভেজ বিপু (৪৩) গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিপু সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে বিপু তার সহযোগী ৬/৭ জন নেতা কর্মী নিয়ে আরামবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ব্যক্তিগত অফিসে বসে আলাপচারিতা করছিল। এমন সময় একদল দূর্বৃত্ত মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় একটি গুলি বিপুর বাম হাতে কব্জির উপরে এবং অপর গুলিটি বাম পায়ের হাঁটুর নীচে আঘাত হানে।
মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় বিপুকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে সে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় আধিপত্য ও বালু মহাল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ও টাকা ভাগাভাগি সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে বিপুর উপর এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান।
ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রকি জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত এই গুলির ঘটনা ঈশ্বরদী যুবদল প্রশ্রয় দেয় না, তারপরও তিনি একজন যুবদল কর্মী, বিপুর উপর গুলির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
সাঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী জানান, গুলির বিষয়ে ঘটনা শুনেছি, এটা অবশ্যই নেক্কারজনক ঘটনা, ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, ঘটনাস্থলে যেহেতু আমি যেতে পারি নাই, আমি পাবনাতে রওনা দিয়েছি, অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তোবা বালু মহালের বিষয়ে এই গুলির ঘটনা ঘটতে পারে ।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই গুলির ঘটনা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে।ভিকটিম যেহেতু এখনো কোনো অভিযোগ দেননি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।