চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম রুবেল বলেন আমার হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর আমরা তিনার অনুসরণকারী
মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমার দয়ার নবী মায়ার নবীর তারই অনুসরণকারী আমরা,সারা বিশ্বের ধর্ম প্রাণ মুসলমান জাতিকে ঘিরে,দৈনিক অপরাধ দমনের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার দৈনিক খবরের ডাকের অনুসন্ধানী মূলক টিম সম্পাদক ও প্রকাশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম রুবেল হৃদয়ের কন্ঠে বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এ পৃথিবীতে। এ দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি শ্রেষ্ঠ আনন্দময় উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।
আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এ দিনে।জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের
সাধারণ সম্পাদক মহান আল্লাহর তাআ’লার গোলাম এসএম রুবেল বলেন, মহানবী (সাঁ.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ৬৩ বছর জিন্দেগির যিনি শ্রেষ্ঠ মানব আমাদের দিক নির্দেশনার সঠিক পথের অনুসরণকারী হিসেবে সকল জাতিকে শিক্ষাদানে একমাত্র তিনি মহা মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।
এসএম রুবেল লক্ষ্য করে তুলে ধরেন আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার, মানুষে মানুষে হানাহানি, যুগের পর যুগ যুদ্ধ-বিগ্রহ, নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ। এ সময় যাঁর আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন।
মহানবী (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
সর্বশেষে মোঃ এসএম রুবেল বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট সামান্য তাঁরই গোলাম ও হুকুম পালনকারী হিসেবে প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ বর্ষিত হোক
ও তিনার প্রতি সালাম জানাই। এছাও মহান আল্লাহ পাকের একমাত্র গোলাম ও ইবাদতকারী একদিন তার ওই নিকট ফিরে যেতে হবে বিশ্বাস করি, (আশহাদু-আল্লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহু ও-আশাদু আন্না মোহাম্মদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আমার আর কোন মাবুদ নেই, আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মহান আল্লাহ তা-আলার প্রেরিত রাসুল ও আমরা তার উম্মত। হে প্রতিপালক আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন (আমিন)।