
মোঃ শামীম শাহরিয়ার (ব্যুরো চিফ রাজশাহী বিভাগ): রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ছাড়াও আশপাশের অন্যান্য উপজেলার প্রায় সর্বস্তরের মানুষের প্রানের দাবি ঐতিহ্যবাহি চারঘাটের নন্দনগাছী রেল ষ্ট্রেশনের সংস্কার ও আন্ত:নগর ট্রেন থামানো । গত প্রায় ২ যুগ সময় ধরে দুই, তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এ দাবি জানিয়ে রেল মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিত আবেদন করে আসলেও মন গলেনি কারোর। গত প্রায় ১৫ টি বছর আওয়ামী সৈরস্বাসকের শাষন আমলের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছেও বিভিন্ন সময়ে ধর্ণা ধরেছে সাধারণ মানুষ। তাতে কখনো মন গলেনি শাহরিয়ার আলমের। দুটি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রানের দাবি শুধু দাবিতেই স্বীমাবদ্ধ ছিল।
তবে গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে আশার আলো জাগতে থাকে সাধারন মানুষের মনে। তারই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত পোষন করেন এবং আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। উত্তরবর্গের সাহসী সন্তান রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তারই প্রেক্ষিতে চারঘাট, পুঠিয়া সহ আশেপাশের উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের আয়োজনে হাজার হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১লা মে ২৫ইং) দুপুরের দিকে নন্দনগাছী রেলষ্ট্রেশনে মানবন্ধন কর্মসুচী পালন করেন আবু সাঈদ চাঁদ সহ এই এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। এসময় হাজারও মানুষ ট্রেণ থামিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এ সময় আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ঐতিহ্যবাহি নন্দনগাছী রেল ষ্ট্রেশনে আগে বিভিন্ন রুটের ট্রেণ থামলেও রহস্য জনক ভাবে গত প্রায় ২ যুগ সময় ধরে এই স্টেশনে ট্রেন থামানো হয় না। এতে করে চরম কষ্টে দেশের অভ্যান্তরে যাতায়াত করতে হয় দুই, তিনটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে। এসব উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ট্রেন থামানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কেউ।
তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নন্দনগাছী রেল স্ট্রেশনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে কঠোর কর্মসুচী গ্রহণ করা হবে। এমনকি আগামী ৫ দিন পরে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই রুটে সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
এসময় আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, বিগত স্বৈরশাষক আওয়ামীলীগ ট্রেন লাইনের কোন উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন। মানুষের প্রানের দাবি তাদের কাছে শুধু দাবিতেই স্বীমাবদ্ধ ছিল।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন, নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সারদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন, নিমপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ, নন্দনগাছী বাজার কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নান্টুু, যুবদল কর্মী হিমেল, বাজারের ব্যবসায়ী মিঠন, বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।