প্রকাশের সময় : ঢাকা শনিবার ২৭,শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১২ অক্টোবর-২০২৪খ্রিস্টাব্দ,০৯ রবিউসসানি,১৪৪৬হিজরি,আপডেট ০৮:৩০পিএম .
মোহাম্মদ সাইদ: শরতের বাতাসে পূজার গন্ধ, আর মনে শরতের আনন্দ। উন্মুক্ত প্রান্তরে মৃদু বাতাসে দোল খায় রাশি রাশি কাশফুল। সেই ফুলের শুভ্রতা নিয়ে ১১ এবং ১২ অক্টোবর গত শুক্র ও শনিবার দুদিন ব্যাপী ঢাকা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন সকল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান আমান ইবনে অমি। পূজার মন্ডপে ব্যারিষ্টার অমির উপস্থিতিতে মন্ডপ গুলো যেন মহা আনন্দে মেতে উঠেছিলো। তাকে ঘিরে শুরু হয় নানান আয়োজন। কাউকে দেখা যাচ্ছিলো কোমর বেঁধে কাটি দিয়ে স্বজরে ঢাক বজাতে,কেউ ধূপ জ্বালিয়ে দুহাতে মাটির পাত্র নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো নৃত্য করতে, কেউ দিয়ে ছিলো উলুধ্বনি, মনে হয়েছে তার উপস্থিতে যেন প্রান ফিরে পেয়েছে ঢাকা-২ আসনের পূজা মন্ডপগুলো। তার প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের অগাধ ভালবাসা এ যেন হিন্দু মুসলিমের এক সেতুবন্ধন। মন্দিরে মন্দিরে উপস্থিত হয়ে ব্যারিস্টার ইরফান আমান ইবনে অমি হিন্দু সম্প্রদায়ে়র লোকদের সাথে কুশল বিনিমিয় করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা উপহার বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানেই নিজেকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে—এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল–মত–ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।’
এ সময় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ে়র লোকদের উদ্দেশ্যে তিনি(ব্যারিস্টার ইরফান আমান ইবনে অমি) বলেন, এ বছর আপনারা নির্ভয়ে বাধাহীন ভাবে এবং মহা আনন্দের সাথে শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসব পালন করছেন। বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিবাদী মুক্ত। শান্তির পথে বাংলাদেশ এগিয় যাবে। ছাত্র জনতার আন্দলনে বাংলাদেশে এক নতুন স্বাধীনতা উদয় হয়েছে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখার দায়িত্ব আমার, আপনার সকলের।
পরিশেষে তিনি খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন। এছাড়া ব্যারিস্টার ইরফান আমান ইবনে অমিকে প্রতিটি দুর্গা মন্দিরে প্রবেশ করলে ফুল দিয়ে় তাকে বরণ করে নেন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও মন্দিরে আসা ভক্তবৃন্দসহ উপস্হিত জনতা।
শুভেচ্ছ্যা বক্তব্যে সকল মন্দিরের সভাপতিরা তাদের একত্ববাদ পোষণ করে এবারের পূজা অনান্য পূজার থেকে ব্যতিক্রম। আমরা হিন্দু সম্প্রাদয়ের লোকেরা বেশ আনন্দের সাথে এ পূজা উদযাপন করতে পারছি। কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসন ও এলাকার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কঠোর নজরদারি থাকায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মনির হোসেন মিনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী শামীম আহসান, সাধারণ সম্পাদক হাজী হাসমত উল্লাহ নবী,সহ-সভাপতি হাজী রুহুল আমিন,মোঃ নাজিমুদ্দিন নাজিম,সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মনিরুল হক মনির,সাংগাঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জানে আলম সুমন,ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান শাহীন,শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান হিরা,সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, মডেল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল,জাসাসের সভাপতি মোঃ শাফায়েত, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল্লাহ মুকুল, কৃষক দলের আঃ মতিন সহ ,যুবদল ছাত্রদল, শ্রমিকদল, কৃষকদলের অন্যান্য নেতৃবন্দ।