

এসএম রুবেল সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে।।
স্বামী খোজা ভাবীর কু’নজরে দু-হাত কে’টে নিলো আপন তিন ভাই ‘ ঘটনাটি আলোচিত ভাবে ঘটলেও ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টায় রয়েছে একদলীয় কুচক্রী মহল। অবশেষে বেরিয়ে আসলো ২৮ দিনের মাথায় ক্রাইম সিন টিমের অনুসন্ধানী চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শিবগঞ্জে পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এক যুবককে বর্বর কায়দায় ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে দুই হাত কেটে ফেলাসহ নির্মমভাবে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভয়াবহভাবে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি ঘটনার পর গৃহবন্দী থাকা ভুক্তভোগী যুবক ইসরাফিল হক।
অভিযোগে জানা যায়, মোঃ ইসরাফিল হক (২৪), পিতা- মোঃ তাইজুল ইসলাম, গ্রাম- চকঘোড়াপাখিয়া, ইউনিয়ন- নয়ালাভাঙ্গা, থানা- শিবগঞ্জ, এক ভয়ঙ্কর ফাঁদের শিকার হন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার আপন ভাই মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৫), ভাবি মোসাঃ লিমা বেগম (২৪), অপর ভাই মোঃ ইব্রাহীম আলী (৩০) এবং নাটোর জেলার খাজুরিয়া গ্রামের এক যুবক মোঃ রানা (১৯) মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই নির্মমতা হত্যার চেষ্টা চালায়।
তবে ভুক্তভোগী ইসরাফিল জানান, তার ভাবি লিমা বেগমের মাধ্যমে মিথ্যা সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তাকে নাটোরে ডেকে নেয়া হয়। ২৪ এপ্রিল তিনি নাটোরে রানা নামক যুবকের বাড়িতে পৌঁছালে তাকে ঠান্ডা স্পিডের ভিতরে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। পরদিন ভোরে ৪ জন মিলে তাকে গামছা ও দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে রুমের মধ্যে বন্দি করে, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তার উপর প্রথমে বেধড়ক লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়, এরপর ইসমাইল চাপাতি দিয়ে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলে। এরপরও ক্ষান্ত না হয়ে মাথায় চাপাতির কোপে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। বাচার তাগিদে গো গো শব্দে সে সময় গ্রামবাসী রক্তমাখা কাপড় দেখে ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ততক্ষণ দুই হাত কাটা সমাপ্ত।
চিকিৎসার শেষে ৪ মে’ বাড়ি ফেরার পরও তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় ‘এবং বিষয়টি প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০ মে’ থানায় যেতে চাইলে পুনরায় তাকে ভয়ভীতি ও গালিগালাজ করা হয় এবং তার বড় ভাই তাকে কয়েকটি থাপ্পড় মেরে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাষায়, “ওরা শুধু আমার হাত কাটেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলতে চেয়েছিল। এনিয়ে আমি আতঙ্কে ঠিকমত ঘুমোতে পারিনা। এখনো আমি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই, বিচার চাই।” তাই প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীরা আশ্রয় নিয়ে তাদের হেফাজতে বাড়ি থেকে বের হয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি, কিন্তু পুলিশ আমার পক্ষে কাজ করবে কি? তারাতো বিপুল পরিমাণের সম্পদের মালিক তাহলে কি পুলিশ তাদের পক্ষ নিবে? না আমি ন্যায় বিচার পাবো এনিয়ে সর্বশেষ দাবি করেন গণমাধ্যম কর্মীর কাছে।
প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার? চাপ প্রয়োগের পর অভিযোগ হাতে নেন পুলিশ’ তবে এনিয়ে নিয়ে পুলিশের বক্তব্য তারা বলেন নাটোরের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদি হয়ে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী মামলার সম্বন্ধে আদৌ কিছুই জানেননা বলে তার স্থানীয় থানায় বিচারের আশায মামলা করতে যান। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় এলাকাজুড়ে এ ঘটনাকে ঘিরে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনাকে ‘পাশবিকতা ও নৈতিক পতনের চরম দৃষ্টান্ত’ হিসেবে দেখছেন। চেয়ে আছেন পুলিশের দিকে পুলিশকি পারবে জড়িত ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে এনিয়ে জনমনে বিশাল আকার ধারণ করেছেন সাথে দাবিও আশা করেন।
এদিকে অনুসন্ধান নিয়ে’ বেরিয়ে আসছে বিয়ের পর থেকেই স্বামী কাজ ক্ষেত্রে বাইরেই থাকে’ স্ত্রীর পতি তার ছিল না কোন আক্রোশ’ অল্প বয়সে বিয়ে হয় এ দম্পতির স্বামীকে কাছে না পেয়ে যৌবনের চাহিদা মেটাতে কাছে টেনে নিয়েছিল দেবরকে। দেবর রাজি না থাকাই তাকে বিভিন্ন ব্ল্যাকমেল এর মাধ্যমে রাজি করানো হয়। এক সময় রাজি হলে তাদের চলছিল’ অবৈধ সম্পর্ক কোনভাবেই জেনে যায় বড় ভাই, বড়ভাইয়ের একটাই আক্রোশ ও ক্ষোব ছটো ভাই ইসরাফিলকে চিরতরে সরিয়ে দিবো। এনিয়ে দফাই দফাই মাস্টার প্লান চালাই তিন ভাই মিলে, অবশেষে তিন ভাই সহ ভাড়াটিয়া খুনির হাতে বলির পাঠা থেকে বাচলেও ইসরাফিলর চিরতরে জন্য হলো দুই হাত পঙ্গু।
