
প্রকাশের সময় : ঢাকা সোমবার ৫ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২১শে অক্টোবর-২০২৪খ্রিস্টাব্দ,১৭ রবিউসসানি,১৪৪৬হিজরি,আপডেট ০৮:৩০পিএম .
নাসির সিকদার কেরাণীগঞ্জ ( ঢাকা) প্রতিনিধি : বৈষম্য ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকার কেরানীগঞ্জে মুক্তি পেয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগ না করলেও ইচ্ছার শক্তির বাহিরে গিয়ে হলেও করতে হত আওয়ামীলীগ। থাকতে হত তাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। প্রতি মাস বা যে কোন দলীয় উৎসবে গুনতে হত তাদের বিরাট অংকের টাকা। তাদের খুশি মত চলতো কেরাণীগঞ্জের লোকের ব্যবসা। পান থেকে চুন খসলেই হুমকি দমকি এবং চলতো মিথ্যা মামলার প্রস্তুতি। এমন একটি পরিবার মধ্যে রয়েছে তেঘরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জজ মিয়া ও তার পরিবার। এলাকা সূত্রে জানাযায়, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাজী মোঃ জজ মিয়া। এছাড়াও ২০০৮ সালে ঢাকা – ৩ আসনের বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যখন ধানের শীর্ষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন কালে বাঘৈর কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন জজ মিয়া। সেই কেন্দ্রে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ফেল করায় তার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান আওয়ামীলীগ নেতারা। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ও তাহার পরিবারের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে জৈনেক প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতা। জজ মিয়া চেয়ারম্যান ২০০০ সালে তেঘরিয়া ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন কেরাণীগঞ্জ উপজেলার যুবদলের সভাপতি ছিলেন জিয়াউদ্দিন পিন্টু আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আজাদ হোসেন। যুবদল থেকে উঠে আসা জজ মিয়া তার দলীয় কর্মকান্ডে স্থান পায় কেরাণীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য রুপে। এদিকে একাধিক বার হোন ইউপি চেয়ারম্যান। সমাজের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিরত রাখা হতো তাকে। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান না হওয়ায় তাকে পড়তে হত নানান বিপদে। হুমকি দুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক তাকে আওয়ামীলীগের যোগ দেওয়ায় সেই প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন নেতা। এর পর ২০১৯ সালে উমরা হজ্বরত মদিনায় মারা যান সেই বিএনপি নেতা হাজী মো. জজ মিয়া। তার বড় ছেলে রায়ান মিয়া জানান, আমার পিতা ও আমার পরিবার বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী। জোড়পূর্বক হুমকি, জীবনাষ, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির কারনে আওয়ামীলীগে ভিড়তে হয়েছে। ব্যবসা বানিজ্য টিকে রাখতে কৌশল অবলম্বন করেছি। না হলে বাবাকে আর আমাকে থাকতে হত জেল হাজতে । বাবা মারা যাওয়ার পর ছোট অবুঝ ভাইটি লেখাপড়া ও ব্যবসায়ে হত প্রচুর ক্ষতি। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও আওয়ামী লীগের সাথে মিশে থাকতে হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্য আন্দোলনে আমি, আমার পরিবার সহ দেশের অনেক সাধারণ ব্যবসায়ীরা মুক্তি পেয়েছে স্বৈরা শাসিত আওয়ামী লীগ সরকার থেকে। মুক্তি পেয়েছে জাতী। কেরাণীগঞ্জের অনেক বিএনপির সমর্থিত ব্যাবসায়ীরা হয়েছে আমার পরিবারের মত শিকার।