মোঃ শামীম শাহরিয়ার (ব্যুরো চিফ রাজশাহী বিভাগ):
রাজশাহীর চারঘাটে উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকরা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ গম গভেষনা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি ৩০,৩২,৩৩ জাতের গমের চাষ করেছেন কৃষকরা। চাষীদের আশা আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে কৃষকরা। গত মঙ্গলবার চারঘাটের বিভিন্ন মাঠে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এবার গমের সবুজ শ্যামল পাতার সমারহ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে। কিছু পরিমাণে গমের শীষ (ছড়া) বের হয়েছে অল্প কিছু দিনের মধ্য গমের শীষে ভরে উঠবে। ফসলের মাঠে এবার কোন ব্লাষ্টরোগের লক্ষণ দেখা যায়নি, গম বীজ ও সার পেয়ে গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান। এবং এরকম আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা গম চাষে আরও উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন অনেক কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাটের ছয়টি ইউনিয়নে ৫৫৩০ হেক্টর জমিতে প্রণোদনা মূলক ৪৮০০ জন ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে ২০ কেজি করে গমের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ১০ কেজি পটাশ সার বিতরন করেন কৃষি অফিস। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ২৩২২৬ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। চারঘাটের ভায়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৃষক লিটন,শাহিন, আমিরুল, রয়েজ ও রিপা খাতুন জানান এবার বেশি শীত ও কুয়াশা কম থাকায় অনুকূল পরিবেশ পেয়ে গম গাছ (গোছা) ও পরিপক্ক হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করছে। ডাকরা গ্রামের চাষী বিচ্ছাদ আলী জানান এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি ৩৩জাতের গম প্রদর্শনী প্লট করেছেন কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষাবাদ পরিচর্যা করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, এ বছর রোগের কোন প্রাদূর্রভাব দেখা যাইনি এই জাত গুলো তাপ সহিষ্ণু রোদ শীত হলেও এই জাতের গমের কোন সমস্যা হয় না এই রবি মৌসুমে ব্লাষ্টরোগ, পাতাবাহার রোগ, ছত্রাক জনিত তেমন কোন সংক্রামক না থাকায় উচ্চ ফলনশীল বারি ৩০,৩২,৩৩ জাতের গম চাষে কৃষকদের ফলন খারাপ হওয়ার কোন কারন নাই বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মোঃ শামীম শাহরিয়ার
ব্যুরো চিফ রাজশাহী বিভাগ
১২/২/২০২৫ইং (০১৭৪৪৩১৫৩৮৬