চাকরিতে ১৪তম গ্রেড এবং ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’সহ ছয় দফা দাবিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নেন।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির আগে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জেলা সিভিল সার্জন এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ ও দপ্তর সম্পাদক তারেক হোসেন প্রমুখ।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিসমূহ:
- স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণ
- ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ
- টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান
- ধারাবাহিক পদোন্নতির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ
- টাইম স্কেল ও উচ্চতর স্কেলে থাকা কর্মীদের উন্নীত বেতন স্কেলের সঙ্গে সমন্বয়
বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ২৬ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক কর্মরত রয়েছেন। তারা সরাসরি জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), গর্ভবতী মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, টিটি/টিডি টিকাদান, এবং রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তারা অভিযোগ করেন, চার দশকের বেশি সময় ধরে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখলেও এখনো পর্যন্ত তাদের চাকরির কাঠামোতে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বেতন কাঠামোয় বিদ্যমান বৈষম্য তাদের হতাশ করেছে।
অবিলম্বে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য সহকারীরা।