
মোঃ মাছুম আহমদ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্তমান সময়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর মতো সাহস ও ইচ্ছা আছে এমন মহান মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। বড়লেখা উপজেলার ৪টি কলেজের অসচ্ছল পরিবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপ ফি পরিশোধের অভাবে পরীক্ষার হলে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগছিলেন। ঠিক তখনই উচ্চ শিক্ষা অর্জণের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু।
চলিত মাসে তিনি উপজেলার চারটি কলেজের অসচ্ছল পরিবারের ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ ফি ও বকেয়া টিউশন ফি বাবত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। আগামি জুনের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাথে কথা বলে যানা যায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আশা তারা ছেড়েই দিয়েছিল। প্রবাসী সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ শরীফুল হক সাজু যেন তাদের অভিভাবক হয়ে তাদের পাশে ছুটে এসেছেন। তিনি ফি পরিশোধ না করলে হয়তো তাদের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় যাওয়াই হতো না।
অসচ্ছল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের নিবার্চন করতে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ তিনি বলেন, বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজ, সুজানগর পাথারিয়া কলেজ ও দাসেরবাজার আদর্শ কলেজ এই চার”টি কলেজে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন করতে আমার সাথে আরও কয়েক জন বিএনপি নেতা সহযোগিতা করেছেন। আর এর মাধ্যমে আগামীতে আমরা ১০০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী পাবো।
শরিফুল হক সাজু’র বিস্বস্ত জুড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ছোটন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অজান্তেই সাজু ভাই এই কাজ গুলো করেছেন। আমরা উনার এমন ভালো কাজ গুলোর জন্য জুড়ী-বড়লেখা-বাসী গর্বিত। আমরা উনার কাছে আশা রাখি আগামীতে তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আরও ভালো কাজ জুড়ী-বড়লেখাবাসীকে উপহার দিবেন। তাছাড়াও বড়লেখায় যে ভাবে মেধাবীদের সাহায্য করছেন টিক তেমনি জুড়ী উপজেলায় যে কয়েকটি কলেজ আছে সেগুলোতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।
বিএনপি নেতা শরীফুল হক সাজু জানান, দারিদ্রতার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ে যায়। জীবন সংগ্রাম চালিয়ে মা-বাবা ও ভাইবোনের মুখে অন্ন তোলে দিয়ে অনেকে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। শেষ সময়ে গিয়ে ফরম ফিলাপের টাকার অভাবে তাদের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এটা যে ওই শিক্ষার্থীর জন্য কত কষ্টের তা সেই শিক্ষার্থীই বুঝে।
টাকার অভাবে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম শিক্ষার্থীদের খোঁজে বের করে তিনি তাদের ফরম ফিলাপ ও বকেয়া টিউশন ফি’র সম্পুর্ণ টাকা বহন করেন। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভালো ফলাফল অর্জন করবে, সমাজের মুখ উজ্জল করবে। আগামিতে তারা দেশের কল্যাণে বড় কোনো কাজ করবে এটাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।