
গত ২৭ এপ্রিল রোজ শনিবার অনুষ্ঠিত রিয়া রূপন পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বাসক পরিচিতি শোভা সংবর্ধনা ও আলোচনা উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শফি মহোদয় – মাননীয় এমপি ৬৫ সিরাজগঞ্জ ৪ উল্লাপাড়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে, জনাব এসএম নজরুল ইসলাম, মেয়র উল্লাপাড়া পৌরসভা, জনাব মারুফ হোসেন, পিপিএম,অধিনায়ক Rab ১২ সিরাজগঞ্জ, মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ , সহ উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উল্লাপাড়া উপজেলার সকল সম্মানিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী বিভাগের, জেলা থানা ইউনিয়নের মানবাধিকারের নেতৃবৃন্দ, আলোচ্য বিষয় ছিল সমাজের অসহায় মানুষের পাশে থেকে আইনের সহযোগিতা দান করা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি সাংগঠনিক এর পরিচয় উল্লেখযোগ্য। কমিটির বিভাগীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন জনাব রবিউল ইসলাম আজম ঈশ্বরদী পাবনা, পেশা বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং শিল্পপতি সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মোঃ আব্দুল আলিম, আল্লামা মুফতি জামিল হোসেন, গোলাম মাওলা, শ্রী গনেশ দত্ত, মোঃ শরিফুল আলম মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার, মোঃ আবু হানিফ মোঃ মাহবুবুল আলম, ইদ্রিস আলী ,মোঃ পলাশ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মোহাম্মদ হুমায়ুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে লিও মোস্তাকিম বিল্লাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনিরা, সহ অন্যান্য, উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি করেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মানিক, পরিচালক প্রশাসন বিভাগ কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রাজশাহী বিভাগ, উক্ত অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মানবাধিকারের সার্বিক আলোচনা করেন, তিনি জানান, ১৯১৪ সালের ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর মানবাধিকারের বিষয়টি মানুষকে ব্যাপকভাবে ভাবিয়ে তোলে। যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট নানা নৈরাজ্য, দুর্ভিক্ষ, হতাশা, অনাহার, নৈতিকতার অবক্ষয় প্রভৃতি অবস্থা উত্তরণের জন্য সমগ্র বিশ্বে একটি নীতির প্রয়োজন দেখা দেয়, যে নীতি দ্বারা বিশ্বের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এছাড়া পরবর্তীতে হিটলারের গঠিত ন্যাৎসী বাহিনীর অমানবিক অত্যাচার ও অনাচার থেকে মানুষকে রক্ষা করার কথা ভেবেছিলেন তৎকালীন বিশ্বের কিছু মানুষ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার। মূলত মানবাধিকার মানে বোঝায়- ক্ষুধা থেকে মুক্তি, ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, শিক্ষার সুযোগ লাভ, ব্যক্তিচিন্তার স্বাধীনতা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা, সকল অধিকার ভোগের নিশ্চয়তা, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান উন্নতির নিশ্চয়তা প্রভৃতি। মানবাধিকারের সার্বজনীন রূপটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৪ সালের ভয়াবহ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। প্রতিষ্ঠিত হয় ‘League of nations’. এটির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন স্বায়ত্ত্বশাসিত কিংবা Trust Territory গুলোর মাধ্যমে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। ‘League of nations’-এর অঙ্গ সংগঠন ILO এর শ্রমিকের কর্মসময় ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ করার মাধ্যমে মানবাধিকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৪৪ সালে ওয়াশিংটনের Dumberton Oaks ভবনে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনায় Human Rights প্রসঙ্গটি স্থান পায়। ২৬ জুন, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়। সনদ অনুযায়ী মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ বা Fundamental human Rights হলো Dignity and worth of human Beings বা মানুষের মর্যাদা ও মূল্য, সমঅধিকার, ন্যায়বিচার, সামাজিক অগ্রগতি, মৌলিক স্বাধীনতা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র বা Universal Declaration of Human Rights গৃহীত হয়। এইদিন ফ্রান্সে UDHR (Universal Declaration of Human Rights) ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের পত্নী মিসেস ইলিনর রুজভেল্ট। এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার।






