বৃহত্ত সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বছরে ৭০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে ভাগবাটোয়ারা
এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ মোবাইল নম্বর-০১৭৫৬৯১১৯৪৬
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের চাঁদাবাজির কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে না বলে একাধিক অভিযোগ বেরিয়ে আসছে ব্যবসায়ীদের। তবে প্রতি বছর প্রায় ৭০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগবাটোয়ারা করে খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায়ীরা বলছেন,আগে প্রতিটি পাথরের ট্রাকে পানামাকে চার্জ দিতে হতো ৭-৮শ’ টাকা। ২০১৯ সাল থেকে পানামা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পাথরের ট্রাকে অনৈতিকভাবে ৭-৮ হাজার টাকা নেয়া শুরু করে। অন্য পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে অতিরিক্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বাড়তি দিতে হয় । ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
গত রোববার দুপুরে সোনাসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মূল ব্যবসায়ীরা। এর আগে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ঔ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকদের তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ২৮০-৩০০ পাথরবাহী ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী ট্রাক আসে প্রায় ১০০টি। ২০১৯ সাল থেকে এমন অনৈতিক তাদের লুটের রমরমা কারবার চলছে হুমানেই । সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশন সূত্রমতে, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, ভুসি, চিঁড়া, কিছু মেশিনারিজ, পোল্ট্র্রি ফিড, ফ্লাইঅ্যাশ ও পিয়াজ আমদানি ইত্যাদি । ছাড়া অন্যান্য পণ্যে পানামা অভ্যন্তরে ট্রাক থেকে ট্রাকে লোড-আনলোড এক বার নেয়ার কথা থাকলেও দুই বার বিল ভাউচার করে নেয়া হয়। বিলের কপিতে প্রতিটি চার্জ নির্ধারিত স্থানে উল্লেখ করে না। পাথরের গাড়িতে কোনো সেবা প্রদান না করেই সুকৌশলে কিছু দপ্তরকে ম্যানেজ করে প্রতি গাড়িতে মাশুল এবং লেবার হ্যান্ডেলিং চার্জের নামে ৭-৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যা দুর্নীতির বহু শামিল। লেবার হ্যান্ডিলিং চার্জের ওপর ১৫% সরকারি ভ্যাট আদায়ের নামে পানামা পোর্ট অপারেটর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ বা দূর্নীতি লুটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন’ওই । পানামা পোর্ট অপারেটর কর্তৃক সকল মাসুল/চার্জ আদায়ের পরেও তবে ব্যবসায়ীদের কঠোর অভিযোগ তুলে দিলেন, সরকারি কোষাগারে পৌঁছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে, এটি তদন্ত করা খুব জরুরি আকারে প্রয়োজন। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসবের সমাধান না হলে ব্যবসায়িক স্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান আমদানি-রপ্তানিকারক মামুনুর রশীদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দৈনিক অপরাধ দমনের ক্রাইম রিপোর্টার এসএম রুবেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এ বন্দরের অপারেটর। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সবকিছু পরিচালত হয়। সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ অনুযায়ী বন্দর মাশুল আদায় করা হয়। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়। ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে নগদ টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এখানে বন্দর মাশুল আদায় হয় সন্ধ্যার পর। তাছাড়া এ বন্দরে কোনো বুথ নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রতিবেদকদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, এটি শক্ত হাতে দমন করা অত্যন্ত জরুরী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাদের হাতে জিম্মি আমরা আজও ক্যানো।