
মোহাম্মদ সাইদ (স্টাফ রিপোর্টার)
পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচেয়ে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। কথাট আজ বড় উপলব্ধি করেছি। টকবগে সন্তানের লাশ বুকে পাথর নিয়ে কাঁধে তুলতে হবে এবং মৃত শরীর পরম আদরে কবরে রাখতে হবে এ ব্যথা কেউ বাবা না হলে কখনো বুঝতে পারবেন না’।কথাগুলো এভাবে আবেগ আপ্লুত হয়ে বল্লেন বলসতা মারকাজুল কোরআন মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র নিহত মো: সুলতানের (১২)বাবা আ: হালিম ।
আ:হালিম ঢাকা কেরানীগঞ্জ শাক্তা ইউনিয়ন নরুন্ডী এলাকায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করেন।তিনি একজন ছোট আকারে জায়গার ব্যাবসায়ী। সামান্য আয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে কোনোরকমে তাঁর সংসার চলে। নিহত সুলতান আ:হালিমের মেঝ ছেলে বলসতা মারকাজুল কোরআনের ৪র্থ শ্রেনীর ভাল ছাত্র ছিল।ছেলে বড় হয়ে ভালো কিছু করবে, এমন স্বপ্ন দেখতেন আবদুল হালিম।কিন্তু আবদুল হালিমের সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টায় সুলতান তার বন্ধুদের সাথে খেলার ছলে নরুন্ডীর মোর ড্রেজার ব্যাবসায়ী হাসানের বিল্ডিং এ ২য় তলায় যায় । বিল্ডিং পাশ দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে পল্লী বিদ্যুতের হাই ব্লোল্টটেজের কয়েকটি তার টানানো ছিল তার গুলো বিল্ডিং এত নিকটে ছিল সুলতান খেলার ছলে এক পর্যায় বিল্ডিং এর করিডোরের পাশে থাকা জানালা দিয়ে সুলতান উকি দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্হায় ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয় ।দীর্ঘ ১৭দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে ৩রা মে বিকেল ৪.৩০ মিনিটে শেষ ত্যাগ করেন।এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দোষারোপ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্হানীদের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় ড্রেজার ব্যাবসায়ী হাসানের বিল্ডিং অপরিকল্পিত ভাবে তোলার কারনে এর আগে উক্ত বিল্ডি একই ঘটনায় সুলতান সহ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর্যন্ত তিনজন মারা যায়। এব্যাপারে এলাকাবাসী একাদিক বার ড্রেজার ব্যাবসায়ী হাসানকে বিদ্যুৎের তার সরিয়ে নিতে বলিলে হাসান প্রবাবশালী হওয়ায় ভুক্তঙোগী কেও মামলা মোকদ্দমা করতে পারেনি। এ ব্যাপারে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।