
পাবনা জেলা বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃ মামুন ”
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা প্রদান এবং ধস্তাধস্তির জেরে ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলির পদত্যাগ দাবিতে তাকে অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
অবশেষে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর পদত্যাগ করলেন তিনি। রবিবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ে ভাইস চেয়ারম্যান কাকলীকে অবরুদ্ধ করে রেখে পদত্যাগ দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী শাখার সমন্বয়ক তাসনিম মাহবুব প্রাপ্তি বলেন, গত ৪ আগষ্ট রেলগেটে এক দফা দাবীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন কর্মসূচিতে মেয়েদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলীর নেতৃত্বে অন্যান্যরা চরম অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। ধস্তাধস্তি পর্যন্ত করেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গতকাল সকালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে আসেন। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হয়ে তার পদত্যাগ দাবী করি। কিন্তু তিনি রাজি না হয়ে ইউএনও’র কক্ষে অবস্থান নেন। বাধ্য হয়ে সেখানেই তাকে অবরোধ করে রেখে পদত্যাগ দাবী করা হয়। দীর্ঘ ৪ ঘন্টার পর বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগ পত্র ইউএনও’র নিকট জমা দিয়ে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিনাভোটে নির্বাচিত স্বৈরাচারি সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি থাকতে পারবে না।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলীর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে আতিয়া ফেরদৌস কাকলী দুপুর সাড়ে তিনটায় পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য তার পদত্যাগ পত্রটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।