উল্লাপাড়ায় তা-মীম হাসপাতালে ভাংগা হাতের অপারেশন করতে বৃদ্ধের মৃত্যু উল্লাপাড়া উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় আক্কাস মাস্টার (৬৯) নামে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গত (১৮জুন) রবিবার রাত ১০টায় উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলী পাড়া বাসস্ট্যান্ডে তা-মীম ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্কাস মাস্টার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের ছোনতলা গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সূত্রে জানাযায়, গত (১৮জুন) দুপুর ২ টায় ভাঙ্গা হাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আক্কাস আলী। পরবর্তীতে রাত্রী ১০টার দিকে তার ভাঙ্গা হাতে পাতি বসানোর জন্য অপারেশন থিয়েটরে নিয়ে পুরো শরীর অজ্ঞান করেন এনেস্থিসিয়া ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম (সবুজ)। এদিকে তার শরীলে ডায়বেটিস,এজমা,ও হার্টের সমস্যা থাকা অবস্থায় অর্থোপ্রেডিক্স ডাক্তার সেলিম রেজা তার অপারেশন করেন।
পরে রাত্রী ১২টার দিকে অপারেশন শেষে তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেডে স্থানান্তর করার একপর্যায়ে তার ডায়বেটিস বেড়ে যায় এবং অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে হাসপাতালে ই রুগীর মৃত্যু হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারাহুরা করে মৃত আক্কাস আলী মাষ্টার কে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্সে তুলে দিলে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রুগীর স্বজনেরা আক্কাস আলী মাষ্টার মারা গেছেন।
এ বিষয়ে অপারেশনে দায়িত্বরত চিকিৎসক সেলিম রেজা বলেন, আমরা তাকে সকল পরিক্ষা নিরীক্ষা করেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অপারেশন করেছি। কিন্তু অপারেশন করার পরে তার শরীলে হঠাৎ ডায়বেটিস বেড়ে যায় এবং অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দেয়।পরবর্তীতে আমরা তাকে এনায়েতপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে রেফার করে দেয়।
অপারেশনে দায়িত্বরত এনেস্থিসিয়া ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম সবুজের কাছে ডায়বেটিস,এজমা,হর্টের সমস্যা থাকা রোগীকে অজ্ঞানের বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি বলেন,অপারেশনের আগে তার পুরো শরীর অজ্ঞান করা হয় এবং অপারেশন শেষে তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার পরে তিনি সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন,ইতিপূর্বে ডায়বেটিস,এজমা,হর্টের সমস্যা থাকা অনেক রোগীকে এর থেকে বড় বড় অপারেশন এই হাসপাতালেই কারা হয়েছে। কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে বড় সাংবাদিক দাবী করে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাতুল ইসলাম (সাজ্জাদ) বলেন, মানুষ মরনশীল। মারা যেতেই পারে,এটাই স্বাভাবি