স্টাফ রিপোর্টার : মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় হাতেনাতে গ্রেফতার ১০ জেলের মধ্যে ৮জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর জেলেকে মুচলেকা সাপেক্ষে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর নৌ থানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম। ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ইয়াকুব বেপারী, নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মোঃ রুবেল, মাহাবুব বেপারী, সজল চন্দ্র দাস ও নজরুল ইসলাম। মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া দুই কিশোর জেলে মোহাম্মদ শাহেদ ও রাজীব হোসেন। রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মা ইলিশ নিধনরোধে অভয়াশ্রম এলাকায় চাঁদপুর মৎস্য অফিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং বিভিন্ন আকৃতির ৬৭টি ইলিশ মাছ। যার ওজন ১৩.৪১ কেজি। অভিযানে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকাসহ ১০ জন জেলেকে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়, ১৩.৪১ কেজি ওজনের ৬৭ টি ইলিশ গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নৌপুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়া ১০ জেলের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৮ জেলেকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা সাপেক্ষে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, নৌ পুলিশের কর্মকর্তা, নৌ পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদন্ড
RELATED ARTICLES