চট্টগ্রাম ব্যুরো: শব্দদূষণ একটি অদৃশ্য আতংকের নাম। এটা চোখে দেখা যায়না কিন্তু জল-স্থল-অন্তরীক্ষে সব জায়গায় হতে পারে। শব্দ দূষণকে বিবেচনা করা হয় অনাকাঙ্খিত ও বিরক্তিকর এমন ধরনের শব্দ যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম। এটাকে কেউ কেউ শব্দ সন্ত্রাসও বলে থাকেন।
শব্দের মাত্রা (Level of sound):
ডেসিবেল কে শব্দ পরিমাপের একক হিসেবে ধরা হয়। পরিবেশে বিভিন্ন মাত্রার শব্দ পাওয়া যায়। ২০-৩০ ডেসিবেল হতে শুরু করে হেড ফোনে সর্বোচ্চ মাত্রা (৯৪-১১০ ডেসিবেল), রক গানের কনসার্ট (১১০-১২০ ডেসিবেল), প্রকট বজ্রপাত (১২০ ডেসিবেল) ও সাইরেন (১২০-১৪০ ডেসিবেল) পর্যন্ত। ৮৫ ডেসিবেল এর বেশী শব্দ কানের ক্ষতি সাধন করে থাকে।
শব্দদূষণ আমাদের কি ক্ষতিসাধন করে (What are the harmful effects of sound pollution)?
শব্দদূষণ …
[4:23 PM, 10/18/2022] Foysal Chittagong Aparadh: দ্বিতীয়টিকে বলা হয় স্থায়ী থ্রেশল্ড পরিবর্তন (Permanent threshold shift)। এটাই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দেখা যায়। উচ্চমাত্রার শব্দ আমাদের অন্তকর্নের শব্দ সংবেদনশীল হেয়ার সেল ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে যা একটা পর্যায় পার হলে কোন প্রকার মেডিকেল বা সার্জিক্যাল চিকিৎসার মাধ্যমে ফেরানো যায় না। এটা যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে। এক কানে বা উভয় কানে হতে পারে।
উচ্চ শব্দ হয় এমন পরিবেশে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে বা দীর্ঘদিন কাজ করলে কানের শুনানি আস্তে আস্তে কমতে থাকে যা এক পর্যায়ে স্থায়ী বধিরতায় পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি হয়তো শুরুতে এটা বুঝতে পারবেন না বা বুঝতে পারলেও বিভিন্ন কারনে এড়িয়ে যেতে চাইবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ মানুষের প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বুঝতে পারবেন না। অথবা পরিবারের বা অফিসের মানুষজন বলা শুরু করবেন আপনি হয়তো কম শুনছেন। অনেকের ক্ষেত্রে শব্দদূষণ …
[4:24 PM, 10/18/2022] Foysal Chittagong Aparadh: ২। টিনিটাস (Tinnitus) : কোনো বাহ্যিক শব্দ ছাড়া কানের ভিতর বেজে যাওয়াকে টিনিটাস বলে। ল্যাটিন শব্দ ‘টিনিয়ার’ (Tinnire) থেকে এর উৎপত্তি, যার অর্থ ঘন্টার শব্দ। শব্দদূষণ এর কারনে এটা দেখা দিতে পারে। এই রোগে রোগী কানের ভিতর শোঁ শোঁ, ভোঁ ভোঁ, শিঁষ দেয়ার শব্দ, কেটলিতে পানি বাষ্প হওয়ার শব্দ, হিসহিস শব্দ, রেল গাড়ির ইঞ্জিন এর আওয়াজ, টিভির ঝিরিঝিরি শব্দ ইত্যাদি অনুভূতি হতে পারে। প্রায় ১০-১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১-২ শতাংশ মানুষ এটার কারণে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করে।
৩। কানে ব্যাথা (Otalgia) : এটা সাধারণত নিউরোপ্যাথিক অথবা স্নায়ুর প্রদাহের (Sterile Inflammation) কারনে হয়ে থাকে ধরা হয়। অতিরিক্ত শব্দের কারনে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কিছু পরিবর্তন দেখা যায় যার কারনে কানে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
৪। হাইপারাকিউসিস বা শব্দের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা (Hyperacus…
[4:25 PM, 10/18/2022] Foysal Chittagong Aparadh: ৬। অন্যান্য (Others):
এছাড়া অতিরিক্ত শব্দের কারনে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, বুক ধড়ফড় করা, ঘুমের সমস্যা, মাথা ব্যাথা ও মানসিক চাপ, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ইত্যাদি হতে দেখা যায়। এর ফলে কথা বলার সময় ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। এটা সাধারণত সকল বয়সের মানুষ বিশেষ করে শিশু ও কিশোর দের মধ্যে বেশি প্রভাব ফেলতে দেখা যায়। একটা গবেষণায় দেখা যায় ব্যস্ত রাস্তা বা এয়ারপোর্টের আশেপাশে থাকে এমন বাচ্চাদের মধ্যে অস্থিরতা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, মনোযোগ এর অভাব, পড়াশোনার দক্ষতা কমে যাওয়া বেশি পরিলক্ষিত হয়।
শব্দদূষণ মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রানী এমনকি পানির নীচের জীব বৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে পারে।
শব্দদূষণ প্রতিরোধ (Prevention_of_sound_pollution):
• বাসা এবং অফিসে প্রয়োজন না হলে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমনঃ ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, টিভি, কম্পিউটার, গেমস ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় …
[4:26 PM, 10/18/2022] Foysal Chittagong Aparadh: • ভারী যন্ত্রাংশ, জেনারেটর, গাড়ি ও কলকারখানার ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি তে নির্দিষ্ট সময়ে লুব্রিকেন্ট বা তেল ব্যবহার করি এবং নষ্ট যন্ত্রাংশ দ্রুত পরিবর্তন করি। এতে শব্দ উৎপাদন কম হবে।
• নির্দিষ্ট সময় অন্তর শহরের বিভিন্ন যায়গায় শব্দের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। দিনের বেলা ৫৫ ডেসিবেল ও রাতের বেলা ৩০ ডেসিবেল এর ভিতর রাখা প্রয়োজন।
• সব ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সরকারের সাথে সাথে জনগণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সমাজকর্মী, গবেষক, গনমাধ্যম কর্মী সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহন করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।এত সুন্দর তথ্য,পরামর্শ টি দিয়েছেন
ডাঃ আলমগীর মোঃ সোয়েব
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএলও (বিএসএমএমইউ)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসপিতাল, (CMCH)
নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড নেক সার্জন।