Thursday, April 24, 2025

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Home বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ( ৩ই ডিসেম্বর ) পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের উত্তরাঞ্চলীয়...

১৯৭১ সালের ( ৩ই ডিসেম্বর ) পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁও

মোহাম্মদ মিলন আকতার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে ১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের ফলে পাকিস্তানি বাহিনী টিকে থাকতে পারেনি দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁয়ে। অবশেষে এ অঞ্চলের স্বাধীনকামী মানুষেরা নিজ মাতৃভূমির অঞ্চল ঠাকুরগাঁওকে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় । এ কারণেই আজকের দিনটিকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁয়েও পাকিস্তানি সৈন্যরা আক্রমণ করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনে মেতে ওঠে তারা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাটিভাঙ্গা ও রাণীশংকৈলে খুনিয়া দীঘির পাড়ে মুক্তিকামীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। ১৭ এপ্রিল জগন্নাথপুর, গড়েয়া শুখাপনপুকুরী এলাকার মুক্তিকামী মানুষ ভারত অভিমুখে যাত্রাকালে স্থানীয় রাজাকাররা তাদের আটক করে। পরে তাদের পাথরাজ নদীর তীরে গুলি করে হত্যা করা হয়। একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলার খুনিয়া দীঘির পাড়ে গণহত্যা চালানো হয়। পাকিস্তানি বাহিনী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী , হরিপুর, পীরগঞ্চ ও রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাধীনকামী ও নিরীহ সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নির্বিচারে হত্যার কারণে পরবর্তীকালে এটি খুনিয়া দীঘি নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধে সংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামী মানুষরাও। স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে ৬ নম্বর সেক্টরের অধীন তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার মুক্তিকামী মানুষেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজ মা মাতৃকার মাটিকে হানাদারমুক্ত করতে। ২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের তৎকালীন পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাতছাড়া হওয়ার পর মনোবল ভেঙে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁয়ে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ -পণ লড়াইয়ে সে রাতেই শত্রুবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটতে শুরু করে। অবস্থান নেয় ২৫ মাইল নামক স্থানে। ৩ ডিসেম্বর ভোররাতে শত্রুমুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও শহর। সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বের হয় আনন্দ মিছিল। হাজার মানুষের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পথঘাট।

RELATED ARTICLES

নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশায় মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে সুমন (১৮) ও...

বোয়ালখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বোয়ালখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‌ বোয়ালখালী প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং, সন্ধ্যা ৮ঃ০০ ঘটিকার দিকে...

দাবি পূরণ করেই ছাত্ররা ক্লাসরুমে ফিরবে নওগাঁর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশায় মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে সুমন (১৮) ও...

বোয়ালখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বোয়ালখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‌ বোয়ালখালী প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং, সন্ধ্যা ৮ঃ০০ ঘটিকার দিকে...

দাবি পূরণ করেই ছাত্ররা ক্লাসরুমে ফিরবে নওগাঁর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করছে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।...

নওগাঁয় নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন...

Recent Comments